নৃত্য
"মঞ্চ থেকে সম্মান—বঙ্গরত্নে উজ্জ্বল ঝুমুর ঘোষ"
ইন্ডিয়ান হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে, বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চে দু’দিনব্যাপী নৃত্য উৎসবের আয়োজন করা হয়।এদিন সুর লহরী নৃত্যাঙ্গনের–এর শিক্ষার্থীদের হাতে প্রদান করা হয় বঙ্গরত্ন পুরস্কার। এছাড়া বঙ্গমোহিনী কলা অ্যাওয়ার্ড ও বঙ্গরত্ন সম্মান প্রদান করা হয় ঝুমুর ঘোষ মহাশয়কে।

সঞ্জনা সমাদ্দার : গত ২৬শে জুলাই ইন্ডিয়ান হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে, বিদ্যান চন্দ্র দাস ও নবীন শর্মা জি-র পরিচালনায়, বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চে দু’দিনব্যাপী নৃত্য উৎসবের আয়োজন করা হয়। ২৬শে জুলাই সুর লহরী নৃত্যাঙ্গন–এর পক্ষ থেকে মেন্টর রত্নমণি ঝুমুর ঘোষ ও তাঁর সকল সদস্য—ডেইজি ঘোষ, অঙ্কিতা দাস, তৃষিতা ঘোষ, গুঞ্জন রায়, নন্দিতা দাস ও স্তুতি চট্টোপাধ্যায়— নৃত্য পরিবেশন করেন।তাঁদের পরিবেশনা ছিল গরজে গরজে রাগ মিঁয়াঁ মলহার ও তারানা এবং আধোরম মধুরম।এদিন সুর লহরী নৃত্যাঙ্গনের–এর শিক্ষার্থীদের হাতে প্রদান করা হয় বঙ্গরত্ন পুরস্কার। এছাড়া বঙ্গমোহিনী कला অ্যাওয়ার্ড ও বঙ্গরত্ন সম্মান প্রদান করা হয় ঝুমুর ঘোষ মহাশয়কে।
উৎসবের আয়োজকরা জানান, এ ধরনের অনুষ্ঠান আগামী দিনে আরও বড় আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে যায়।উৎসবের আয়োজকরা জানিয়েছেন, আগামী বছরে এই নৃত্য উৎসব আরও বৃহত্তর আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক শিল্পীরাও অংশ নেবেন। তাঁদের মতে, এমন উদ্যোগ বাংলা সংস্কৃতিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।মঞ্চে প্রতিটি পরিবেশনার পর করতালির ঢেউয়ে ভেসে গিয়েছে যদুভট্ট মঞ্চ। অনেক দর্শক জানান, তাঁরা বহুদিন পরে এমন হৃদয়গ্রাহী নৃত্যউৎসব দেখলেন, যেখানে শাস্ত্রীয় ভঙ্গি ও ভাবের গভীরতা সমানতালে মিলেছে আধুনিকতার সঙ্গে।বিষ্ণুপুরের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এই উৎসব শুধু শিল্পীদের মঞ্চই দেয়নি, তুলে ধরেছে বাংলা নৃত্যকলার ঐতিহ্য ও গৌরবের নতুন অধ্যায়।

Comments