Durga Puja

দশমীতে উমাকে বরনের পর সিঁদুর খেলায় মত্ত হলেন নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে রানী মা, এবং চোখের জলে বিদায় জানালেন রাজরাজেশ্বরী মাতাকে

গৃহবধূদের সাথে সিঁদুর খেলায় মত্ত হলেন রাণী মা

গৌতম ঘোষ, নদীয়া :  মা জগতের মঙ্গল করুন, সকলের মঙ্গল কামনায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তার রাজবাড়ীতে শুরু করেছিলেন রাজ রাজেশ্বরীর মাতার আরাধনা, সেই রীতি ধরে রাখার চেষ্টা করছি মাত্র। জানিনা ভবিষ্যতে বংশ পরম্পরায় এই পুজো বাহিত থাকবে কিনা। আজ দশমীর দিন মৃন্ময়ীকে আরাধনা করার পর কৈলাসে যাওয়ার পালা, তাই চোখের জলে উমাকে শেষ বিদায় জানাতে সিঁদুর খেলায় মত্ত হলেন নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবাড়ির বংশধরেরা।

 প্রত্যেক বছর রাজেশ্বরীর আরাধনায় ব্রতী হয় গোটা নদীয়ার মানুষ, বিশেষ করে এই পুজোকে কেন্দ্র করে থাকে চরম উন্মাদনা। একটা সময় রাজ রাজেশ্বরী কে দর্শন করতে  রাজ্যের রাজারাও কৃষ্ণ চন্দ্রের রাজ বাড়িতে এসে উপস্থিত হতেন। শক্তি আরাধনাকে বিশ্বাস করতেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, অন্যদিকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শক্তি আরাধনাকে অনেকটাই বিদ্রুপ করতেন অন্যান্য রাজারা, কিন্তু শক্তি আরাধনা কে বেছে নিয়েছেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, তারপর থেকেই তার রাজত্বের প্রজাদের মঙ্গল কামনায় শুরু করেছিলেন দেবী রাজ রাজেশ্বরীর আরাধনা।

 কয়েক শতাব্দী প্রাচীন হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত এই রাজবাড়ীতে রাজরাজেশ্বরীর সাবেকী আনায় অটুট রয়েছে। দেবীর আরাধনা বর্তমান রাজ বাড়ির রানী মা  অমৃতা রায়ের একটি মাত্র পুত্র সন্তান, স্বামীর অসুস্থতার কারণে রাজবাড়ির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খুবই চিন্তিত তিনি, কিন্তু সব কিছু অতিক্রম করে পুজোর পাঁচটা দিন দেবী আরাধনায় ব্রতী হয়ে থাকেন তিনি। দশমীর দিনে নাট মন্দিরে দেবীকে বরণ করে নেন রাণীমা, এরপর উমাকে চোখের জলে বিদায় জানান তিনি। পরবর্তীতে আগত গৃহবধূদের সাথে মত্ত হন সিঁদুর খেলায়। তার মাঝেও আবারো কোথাও যেন হারিয়ে যাওয়ার বেদনা, আবার একটা বছরের অপেক্ষা। দেবীর কাছে রানী মা অমৃতা রায়ের একটাই প্রার্থনা, মাগো সকলের মঙ্গল কর জগতের মঙ্গল করো দেশের মঙ্গল করো। 

Advertisement