Madhyamgram murder case
মহিলার আজব আবদার! কি আবদার করলেন মহিলা? আর কাকেই বা আবদার করলেন? শুনলে অবাক হবেন আপনিও
এক মহিলা সর্বসমক্ষে আজব আবদার করলেন। যে আবদার শুনলে আপনিও অবাক হবেন। কি সেই আবদার?

এক মহিলাকে খুন করে ট্রলি ব্যাগে ভরে তার দেহ লোপাট করার অভিযোগ উঠেছিল মা এবং মেয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মা ও মেয়ে দুজনকেই ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত মা আরতী ঘোষ এবং তাঁর মেয়ে অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষ। ওই মহিলাকে খুন করে ট্রলি ব্যাগে ভরে তাঁর দেহ মধ্যমগ্রাম থেকে কুমোরটুলি পর্যন্ত তাঁরা নিয়ে যায় এবং তারপরেই তাঁরা পুলিশের কাছে ধরা পড়ে যায়।
বঁটি দিয়ে কেটে ফেলা হয় মৃতার পায়ের কিছুটা অংশ
পিসি শাশুড়িকে খুন করে ট্রলি ব্যাগে ভরে যখন অভিযুক্ত মা ও মেয়ে দেহ লোপাট করার চেষ্টা করছিল তখন কোন মতেই সেই বডিটি ট্রলি ব্যাগে ঢুকছিল না। আর সেই কারণেই ট্রলি ব্যাগে যাতে ভালোভাবে ওই মহিলার দেহ ভরে নিয়ে যাওয়া যায় তার জন্য একটি বঁটি দিয়ে ওই মহিলার পায়ের কিছুটা অংশ কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে মা এবং মেয়ের বিরুদ্ধে।
বঁটি উদ্ধারের জন্য পুকুরে নামানো হয় ডুবুরি
পিসি শাশুড়িকে খুন করার পরে, পিসি শাশুড়ির পায়ের বেশ কিছুটা অংশ কেটে ফেলে অভিযুক্ত মা আরতী ঘোষ এবং তারই মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ। তবে সেই কাজে ব্যবহৃত বঁটি - মধ্যমগ্রামের বীরেশ্বর পল্লীর একটি পুকুরে তাঽরা ফেলে দেয় বলে সূত্র অনুযায়ী জানা যায়। আজ (মঙ্গলবার, ৪ ই ফেব্রুয়ারি) সেই বঁটি টি মধ্যমগ্রামের বীরেশ্বর পল্লীর পুকুর থেকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ ডুবুরি নামায়।
মহিলা কাকে, কি আবদার করেছিলেন?
পুলিশের উপস্থিতিতে ডুবুরি, বীরেশ্বর পল্লীর পুকুর থেকে বঁটি উদ্ধারের জন্য নামে। তখন সেই পুকুরের চারপাশে স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় মানুষজন ভিড় জমায়। আর সেই সময়েই সেখানে এক মহিলা আসেন এবং তিনি ওই পুকুরে নামা ডুবুড়ির কাছে অনুরোধ করেন যে, তাঁর হারিয়ে যাওয়া সোনার আংটি খুঁজে দেবার জন্য।
মহিলার আংটি কিভাবে হারিয়ে গিয়েছিল?
তিনি তাঁর আংটি হারিয়ে যাওয়ার কারণটিও জানান ডুবুরিকে। তিনি বলেন যে, কালীপুজোয় তিনি পুরোহিতকে যে আংটি দিয়েছিলেন সেটি ভুল করে পুরোহিত মশাই পূজোর ঘটের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন। আর পূজো শেষ হওয়ার পর সেই ঘট বিসর্জন দেওয়া হয় এই পুকুরে আর তার সঙ্গে সঙ্গে আংটিও পুকুরে পড়ে যায়। যদিও বহু খোঁজাখুঁজির পরেও সেই আংটি এখনো পাওয়া যায়নি।
মহিলার আবদার কি পূরণ হয়েছিল?
খুনের পর মৃত মহিলার পা কাটার জন্য যে বঁটি অভিযুক্ত মা ও মেয়ে ব্যবহার করেছে তা যথারীতি ১৫ মিনিটের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু মহিলার আবদার অনুযায়ী ডুবুরি আংটি উদ্ধার করেননি, ফলে ওই মহিলা বেশ হতাশ হয়েছেন এবং হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

Comments