Water bell

ওয়াটার বেল পড়তেই জলপানে ব্যস্ত পড়ুয়ারা..! অভিনব উদ্যোগ আরামবাগ হাই স্কুলের

স্কুলে ক্লাস চলাকালীন আচমকা বেজে উঠছে ঘণ্টা। কিন্তু সেটি কোনও পিরিয়ড শেষের ঘণ্টা নয়, বা ছুটিরও নয়—এটি ‘ওয়াটার বেল’। আর এই ঘণ্টা বাজলেই বাধ্যতামূলকভাবে সকল পড়ুয়াকে জলপান করতে হবে।

সুমন চন্দ্র, আরামবাগ। ২১ শে জুলাই ২০২৫। স্কুলে ক্লাস চলাকালীন আচমকা বেজে উঠছে ঘণ্টা। কিন্তু সেটি কোনও পিরিয়ড শেষের ঘণ্টা নয়, বা ছুটিরও নয়—এটি ‘ওয়াটার বেল’। আর এই ঘণ্টা বাজলেই বাধ্যতামূলকভাবে সকল পড়ুয়াকে জলপান করতে হবে।

ছাত্রছাত্রীরা যেন স্কুলে নিয়মিত ও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করে, তা নিশ্চিত করতেই এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে হুগলির আরামবাগ হাই স্কুল। স্কুল চলাকালীন নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই বিশেষ ঘণ্টা বাজানো হয়। ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সবাইকে থেমে জল খেতে বলা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, এটি শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্যও প্রযোজ্য। শিক্ষকরা এই নিয়ম কার্যকর করায় কড়া নজরও রাখছেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র রায় জানান, "আমরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অন্তর ওয়াটার বেল বাজাই। এই গরমে জলপান না করলে পড়ুয়াদের শরীর খারাপের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই এই উদ্যোগ। সব পড়ুয়াকে বাধ্যতামূলকভাবে জল খাওয়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”

স্কুলের এই উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরাও। তাঁদের মতে, আজকের দিনে যখন শিশুরা জলপানের প্রতি সচেতন নয়, তখন স্কুলের এমন দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ শিক্ষামূলক তো বটেই, স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement