West Bengal Assembly

বিধানসভা থেকে বহিষ্কৃত ৪ বিজেপি বিধায়ক, 'চুপ বিধানসভা চলছে’ বলে কটাক্ষ

সোমবার সপ্তাহের প্রথমদিনে অধিবেশন শুরু হতেই ফের বেনজির বিশৃঙ্খলা নজর কাড়ল বিধানসভার অভ্যন্তরে। বিধানসভার কাজে বাঁধা দেওয়া, কাগজ ছেঁড়ার মতো অসংবিধানিক কাজের জন্য চার বিজেপি বিধায়ক (শংকর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও, দীপক বর্মন ও অগ্নিমিত্রা পালকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।মার্শাল ডেকে তাঁদের অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মকর্তাদের তরফে

সঞ্জনা সমাদ্দার। ২৩ শে জুন,২০২৫।: সোমবার সপ্তাহের প্রথমদিনে অধিবেশন শুরু হতেই ফের বেনজির বিশৃঙ্খলা নজর কাড়ল বিধানসভার অভ্যন্তরে। বিধানসভার কাজে বাঁধা দেওয়া, কাগজ ছেঁড়ার মতো অসংবিধানিক কাজের জন্য চার বিজেপি বিধায়ক (শংকর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও, দীপক বর্মন ও অগ্নিমিত্রা পালকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।মার্শাল ডেকে তাঁদের অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মকর্তাদের তরফে। এর পর তাদের টেনে হিঁচড়ে বিধানসভা থেকে বার করেন মার্শালরা। সূত্রের দাবি, মার্শালদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপি বিধায়কদের। 

অধিবেশনকক্ষে উত্তেজনার মূল কারণ

অধিবেশনকক্ষে উত্তেজনার সূত্রপাত্র ঘটে অনেক সময় আগে থেকেই , শুক্রবার বিধানসভায় বিলের ওপর আলোচনার সময় নিজেদের বক্তব্য রেখে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। শাসকদলের বক্তব্যকে উপেক্ষা করার কারণ দেখিয়ে সমস্ত বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য বিধানসভার রেকর্ড থেকে বাদ দিয়ে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। এরই মধ্যে, সোমবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি তা জানতে চান কেন বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য বাদ দেওয়া হল। তখন, স্পিকার কারণ জানালে শংকর ঘোষের নেতৃত্বে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। এর পরই শংকর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ ওঁরাও সহ ৪ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। তখন মার্শাল দিয়ে টেনে হিঁচড়ে বিজেপি বিধায়কদের বিধানসভা থেকে বার করে দেওয়া হয়।

'চুপ বিধানসভা চলছে’ বলে মন্তব্যে শোরগোল কক্ষ

উত্তাল বিধানসভায় শুধু স্লোগানই নয়, বিজেপি বিধায়করা মাইক, টেবিল ভেঙেছেন বলেও অভিযোগ তোলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে, বিধানসভার নিরাপত্তা রক্ষীরা বিজেপি বিধায়কদের ধাক্কা মেরে বের করে দিতেই উত্তাল শুরু হয়। সেই সময় তাদের হাতে ‘চুপ বিধানসভা চলছে’ বলে একটি প্ল্যাকার্ডও লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মাননীয়া চাইছেন না, বিধানসভায় কোনও বিল পাশ হোক। এছাড়াও আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা হল এমন একটি বিধানসভা যেখানে এখনও লাইভ সম্প্রচার হয় না।অর্থাৎ , গোপনীয়তার আড়ালে বিল পাশের তদারকি করেন শাসক দল তা তিনি স্পষ্ট করে দিলেন।

ইতিমধ্যে, বিধানসভর মুখ্য সচেতক বিধায়ক শংকর ঘোষ জানান, ঘটনার সময় বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি এসে পৌঁছান। বিধানসভার সামনে গাড়ি থেকে নেমে তাঁকে দ্রুত প্রবেশ করতে দেখা যায় বলে সূত্রের দাবি।

Advertisement