ত্রিপুরা

বিলোনিয়ায় উপজাতি কৃষকের ৩০০ রাবার গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ কৃষি আধিকারিকের বিরুদ্ধে, জেলা শাসকের নিকট সুষ্ঠু বিচার চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান YTF-এর

রাবার বাগানের প্রায় ৩০০ গাছ বিনা নোটিশে কেটে ফেলা হয়েছে

যশপাল সিং, ত্রিপুরা : দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া বান্দা পাড়ায় ঘটে গেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। স্থানীয় কৃষক মানাধন ত্রিপুরার চার বছর বয়সী রাবার বাগানের প্রায় ৩০০ গাছ কৃষি দফতরের এক আধিকারিক কর্তৃক বিনা নোটিশে কেটে ফেলা হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। নিজের জমিতে আইনি অনুমোদন নিয়ে লাগানো রাবার গাছ একদিনে এভাবে নিশ্চিহ্ন হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ভেঙে পড়েছেন এবং সুবিচারের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।

এদিকে, ঘটনাটির প্রতিবাদে যুব টিপ্রা ফেডারেশন (YTF)  আজ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মানাধন ত্রিপুরার সঙ্গে যা ঘটেছে, তা কৃষক সমাজের প্রতি এক গভীর অবিচার। তাঁদের দাবি, যতদিন না ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সুবিচার পাচ্ছেন, ততদিন তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং যেকোনো অবিচারের বিরুদ্ধে কৃষকদের পাশে থাকবেন।

অপরদিকে, মানাধন ত্রিপুরা অভিযোগ করেছেন, কৃষি দফতরের আধিকারিক দীপক চন্দ্র দাস বেআইনিভাবে ও কোনোরূপ নোটিশ ছাড়াই তাঁর বাগান ধ্বংস করে দিয়েছেন। ক্ষুব্ধ কৃষক এই ঘটনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন এবং ক্ষতিপূরণসহ ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছেন।ঘটনার পর বিষয়টি ঘিরে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, কৃষকদের ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের ফসলকে প্রশাসনিক গাফিলতিতে এভাবে ধ্বংস করা শুধু অন্যায় নয়, এটি কৃষকদের জীবিকা ও অধিকারকে সরাসরি আঘাত।

এই ঘটনায় TTADC-এর মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য (CEM) পূর্ণ চন্দ্র জামাতিয়া দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছেন গত ১৫ই সেপ্টেম্বর। সেখানে তিনি অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী আধিকারিকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, শুধু বিলোনিয়া নয়, ত্রিপুরার অন্যান্য জায়গাতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, যা প্রশাসনিক জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলছে। পূর্ণ চন্দ্র জামাতিয়া আরও বলেন, প্রায় ৩০০ রাবার গাছ কয়েক বছরের পরিশ্রমের ফল। এগুলো কেটে ফেলার মাধ্যমে শুধু একজন কৃষকই ক্ষতিগ্রস্ত হননি, বরং পুরো সম্প্রদায়ের জীবিকা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। তাই দ্রুত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা এবং দায়ীদের শাস্তি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

Advertisement