বাইক-চুরি

সীমান্ত পেরিয়েও রক্ষা নেই! খোয়াই পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার

আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়ে যাওয়া একটি মোটরবাইককে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করে তারা পেশাদারিত্ব, দক্ষতা এবং আন্তরিকতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে।ত্রিপুরার খোয়াই পুলিশ বাংলাদেশ থেকে চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার করে।

যশপাল সিং, খোয়াই । ২৭ শে জুলাই ২০২৫। "চুরি যাওয়া জিনিস আর ফেরত পাওয়া যায় না"—এই প্রবাদকে ভুল প্রমাণ করে দিল ত্রিপুরার খোয়াই জেলা পুলিশ এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়ে যাওয়া একটি মোটরবাইককে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করে তারা পেশাদারিত্ব, দক্ষতা এবং আন্তরিকতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এই ঘটনায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে চমৎকার সমন্বয়ও ফুটে উঠেছে।

ঘটনার সূত্রপাত, গত ২৪শে জুলাই, ২০২৫, গভীর রাতে খোয়াই থানাধীন অরবিন্দপার্ক এলাকা থেকে হিরো দেবনাথ নামে এক ব্যক্তির মোটরবাইকটি চুরি হয়ে যায়। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই খোয়াই থানার পুলিশ এবং বিএসএফের ১০৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তৎপর হয়ে ওঠে। আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিজস্ব সূত্রের মাধ্যমে তারা দ্রুত জানতে পারে যে, বাইকটি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলায় পাচার করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই অসম্ভবকে সম্ভব করার লড়াই শুরু হয়। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়া কোনো জিনিস উদ্ধার করা অত্যন্ত জটিল একটি প্রক্রিয়া।

 কিন্তু ত্রিপুরার খোয়াই পুলিশ এবং বিএসএফ হাল ছাড়েনি। তারা বাংলাদেশের ৫৫ নম্বর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান এবং যৌথ প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার অন্তর্গত বালা এলাকা থেকে বাইকটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বাইক উদ্ধারের সংবাদ পৌছে মালিকের কাছে। শনিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হওয়া বাইকটি তার প্রকৃত মালিক হিরো দেবনাথের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নিজের হারানো বাইক ফিরে পেয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং খোয়াই পুলিশ ও বিএসএফ-এর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই সফল অভিযান প্রমাণ করে যে, সাধারণ মানুষের সম্পত্তির সুরক্ষায় পুলিশ ও বিএসএফ কতটা দায়বদ্ধ। তাদের এই নিরলস প্রচেষ্টা এবং দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনেও অপরাধ দমনে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়। খোয়াই থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক (ওসি) কৃষ্ণধন সরকার এবং তাঁর সম্পূর্ণ দল এই অসাধারণ কাজের জন্য সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসা অর্জন করেছে।

Advertisement