দুর্গা পুজা

দেবী দুর্গার আগমন, কাশফুলের দোলা

কাশফুলের ছোঁয়ায়, ঢাকের তালে এবং সর্বোপরি দেবী দুর্গার আগমনীর বার্তা, জানান দেয় মা আসছেন

ত্রিপুরা, বিক্রম কর্মকার: শরৎকাল  প্রকৃতিতে এক অপার সৌন্দর্যের ঋতু। আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়, চারপাশে হালকা রোদে পরিবেশ হয় মনোরম। এই সময়  মাঠে-ঘাটে, নদীর ধারে ও গ্রামীণ প্রান্তরে সাদা কাশফুল দুলতে থাকে বাতাসে। কাশফুল যেন শরতের দূত, তার শুভ্রতা প্রকৃতিকে করে তোলে শান্ত ও নির্মল। নীল আকাশের নিচে দুলতে থাকা কাশের বন মানুষের মনে আনন্দ ও প্রশান্তি আনে। কবি ও সাহিত্যিকরা কাশফুলকে শরতের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন বহু রচনায়। সত্যিই, কাশফুল ছাড়া শরৎকালের সৌন্দর্য যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। যখনই শরৎকাল আসে, আমাদের মনে যখন এক অনাবিল আনন্দ দোলা দেয় তখন আমরা ঘুরে বেড়াই এক কল্পনার জগতে। এই কল্পনার জগত থেকে রঙ্গিন বাস্তবে আমরা ফিরে আসি কাশফুলের ছোঁয়ায়, ঢাকের তালে এবং সর্বোপরি দেবী দুর্গার আগমনীর বার্তায়।

দিকে দিকে কাশফুল ফোটে উঠেছে, প্রকৃতিপ্রেমী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের কবি সাহিত্যিক লেখক এবং গুণীজনেরা স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা করে চলেছেন এই শরতের ছোঁয়ায় কাশফুল তথা শিউলি ফুলের আগমনকে। আমাদের সাথে কথা হয়েছে ত্রিপুরা খোয়াই জেলা তেলিয়ামুড়া তথা ত্রিপুরার একজন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক লেখক শৈলেন্দ্র দাসের সাথে। তিনি উনার অনেক কথা, অনেক অভিজ্ঞতার নির্যাসের উল্লেখ করেছেন। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবং লেখক সত্তার মিশ্রণে শৈলেন্দ্র দাস দাবি করেছেন আমাদের ত্রিপুরা বিশ্বসংস্কৃতির একটা পরিপূর্ণ ক্ষেত। তিনি আশাবাদী, শরতের এই কাশফুলের দোলায় আমাদের জগত সংসার নেচে উঠবে, আমাদের বর্তমান তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গেয়ে উঠবে আগমনীর গান।

যুগ যুগ ধরে কিভাবে এই শরৎ এলে পরে আমাদের হৃদয়ে দোলা লাগে কবি মনে উৎসাহ তৈরি হয় এবং সাধারণ মানুষরা আগমনীর বার্তায় মোহিত হয়ে থাকেন আমাদের সাথে কথা বলার প্রতিটা ছত্রে ছত্রে দাবি করেছেন প্রবীণ এই লেখক তথা গুণীজন শৈলেন্দ্র দাস।

Advertisement