West Bengal

দুধে ভেজাল মেশানোর অভিযোগে গ্রেফতার ৩, কে বা কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত?

দুধে ভেজাল মেশানোর অভিযোগে হাতেনাতে ধরা পরল তিন অভিযুক্ত। তবে কে বা কারা এই ভেজাল চক্রের সঙ্গে রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

শিশুদের খাদ্য হিসেবে দুধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা শিশুদের শরীরের জন্য এবং যে কোনো সাধারণ মানুষ থেকে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের শরীরের জন্যও অপরিহার্য। তবে সেই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর খাদ্য দুধে ভেজাল মেশানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজন। পুলিশ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করল অভিযুক্ত তিনজনকে।

দুধে ভেজাল মেশানোর অভিযোগে গ্রেফতার  ৩

দুধের মত গুরুত্বপূর্ণ খাবার আর কিছুই হয় না। আর সেই পুষ্টিকর খাদ্য দুধে ভেজাল মেশানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন। দুধে ভেজাল মেশানোর অভিযোগে গোটা জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার পোলবা থানার হোসনাবাদে। এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকা সহ গোটা জেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

দুধ, শিশু অথবা মুমূর্ষু রোগী সবার জন্যেই অপরিহার্য। আসলে দুধ পুষ্টিতে ভরপুর একটি খাদ্য। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা হুগলি জুড়ে। ভেজাল মেশানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তিনজনকে, তাছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ভেজাল দুধের ট্যাঙ্কার। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

দুধে মেশানো হচ্ছিল জল এবং বিষাক্ত কেমিক্যাল!

হুগলি জেলার পোলবা থানার হোসনাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। আজ সোমবার ১৪ ই এপ্রিল হোসনাবাদের একটি হোটেলের সামনে একটি ট্যাঙ্কার থেকে দুধ নামানো হচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, - ভালো দুধ নীল রঙের কন্টেনারে ছিল। আর সেই কন্টেইনারের দুধের সঙ্গে মেশানো হচ্ছিল বিষাক্ত কেমিক্যাল এবং জল। অর্থাৎ দুধে ভেজাল এবং বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশানোর অভিযোগ তুলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

সূত্র অনুযায়ী জানা যায় যে, দুধের পরিমাণ বাড়াতেই ধৃতরা এমন কাজ করছিল। আর সেই ভেজাল দেওয়ার সময়ই তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলে পুলিশ। তবে এই তিনজন বাদে এই ভেজাল চক্রে আর কোনো বড় মাথা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুধের পরিমাণ বাড়াতেই দুধের কন্টেনারে ভালো দুধের সঙ্গে মেশানো হচ্ছিল বিষাক্ত কেমিক্যাল এবং জল। আর এই কাজ করছিল ধৃত তিন ব্যক্তি। তাঁদের হাতে নাতে ধরে ফেলে পুলিশ, তারপরেই গ্রেপ্তার করা হয় ওই তিনজন অভিযুক্তকে।

কে বা কারা এই ভেজাল চক্রের সঙ্গে জড়িত?

 দুধে ভেজাল মেশানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তিন জনকে যাদের নাম হল - সৌরভ পাল, যার বাড়ি নদীয়ার তেহট্টে। এছাড়া গ্রেপ্তার করা হয় ফিরদৌস মল্লিক ও শুভরাজ মল্লিককে, যাদের বাড়ি যথাক্রমে - হুগলি জেলার ধনিয়াখালির হারপুরে। অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয় এবং পুলিশ ধৃত তিনজনকে নিজেদের হেফাজতে চায়। এই তিনজনের সঙ্গে আর কোনো বড় মাথা জড়িয়ে আছে কিনা অথবা আর কোন চক্র এই অসাধু কাজে জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

ধৃত তিনজন অভিযুক্তের মধ্যে প্রধান হল সৌরভ পাল, যে শুভরাজ মল্লিক এবং ফিরদৌস মল্লিককে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করেছিল বলে সূত্র অনুযায়ী জানা যায়। এছাড়া ফিরদৌস মল্লিক এবং শুভরাজ মল্লিক দীর্ঘদিনের বন্ধু, তবে এই তিনজন অভিযুক্তের বাইরেও ভেজাল দুধের কারবারে আর কোনো বড় মাথা বা কোনো চক্র আছে কিনা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Advertisement